পেকুয়া উপজেলার সদর ইনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বলির পাড়ায় রোকেয়া বেগম(২৪) নামের এক গৃহবধুকে পাশের পাড়ার এক অবিবাহিত যুবকের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে ওই গৃহবধুকে যুবকের সাথে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে শারিরীক ভাবে মারধরও করা হয়েছে। নির্যাতনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে তার মানহানিও চেষ্টাও করা হয়েছে। গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধুর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসি বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসি জানায়; পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিণ মেহের নামার বলির পাড়ার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মোঃ শরিফ (৫০) সাড়ে তিন বছর আগে মালয়েশিয়ায় চলে যান। মোঃ শরিফের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর রোকেয়া বেগমকে বিয়ে করেন। রোকেয়া বেগম তিন সন্তানের জননী। মোঃ শরিফ মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর থেকে এলাকার কিছু লোক তার সাথে নানা ভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে রোকেয়া বেগমকে পাশের মোরার পাড়ার ফজল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ আপেল(১৭) কে দড়ি দিয়ে বাঁধে জনসম্মুখে নিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে অনৈতিক সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ আরও কিছু ব্যক্তি তাদের শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনাটি যাতে কাউকে যাতে জানাতে না পারে সেজন্যে রোকেয়ার মোবাইল সেটটিও কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে ১লা আগষ্টও ঘরের বের হতে দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এ ঘটনার ইব্রাহিম খলিল নামের এক ব্যক্তি গৃহবধু রোকেয়াকে যুবক আপেল এর কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (ফেসবুক আইডি গফ ওনৎধযরস কযধষরষ) প্রচার করেন। এলাকাবাসি জানায়; খবরটি মালয়েশিয়ায় তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিয়ে রোকেয়া বেগমের সংসার ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি এনিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা রোকেয়া বেগমকে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতনকারীদের শাস্তিও দাবী করেছেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। মালয়েশিয়া প্রবাসি মোঃ শরিফের ভাই ইব্রাহিম জানান, রোকেয়া বেগমের চরিত্র ভাল নয়। তার ভাইয়ের বউকে আরও কয়েকবার এলাকাবাসি হাতেনাতে ধরেছে বলে তিনি দাবী করেছেন। এলাকাবাসি জানায়, তাদের ভাইয়ে ভাইয়েও বিরোধ রয়েছে। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, ঘটনাটি এর আগে আমি আর শুনেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। যুবক আপেলের মা জানিয়েছেন, তার ছেলে আপেল চরিত্রহীন ছেলে নয়, শত্রুতা করে তার ছেলেকে পথ থেকে ধরে নিয়ে ওই গৃহবধুর কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: